Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

উপজেলার পটভূমি

         আয়তনের দিক হতে এ উপজেলা বগুড়া জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা। বৃটিশ শাসনআমলে এ উপজেলা বৃহত্তর রাজশাহীর জেলার নাটোর মহাকুমার সিংড়া থানার অন্তর্ভক্ত ছিল।  এ এলাকাটিতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে শামিত্ম শৃংখলার রক্ষার তাগিদে ১৯৩২ সালে বৃটিশ সরকার ১ টি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে এবং ১৯৩৭ সালে এলাকাটি সিংড়া থানা হতে আলাদা করে ৫টি ইউনিয়নের সমন্বয় নন্দিগ্রাম থানা হিসাবে ঘোষণা দিয়ে এলাকাটিকে বগুড়া জেলার অমর্ত্মভূক্ত করা হয়।

          

       নন্দিগ্রাম এর নামকরণে ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় অযোদ্ধার রাজা দশরথের দ্বিতীয় স্ত্রী নন্দিনির পৈত্রিক নিবাস এ এলাকাতে ছিল এবং রানীর সৌজন্যেই রাজা দশরথ এ এলাকাটির নামকরণ করেন নন্দিনির গ্রাম। পরবর্তীতে এই নন্দিনির গ্রামটিই বর্তমানে নন্দিগ্রাম হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।

 

       এ উপজেলায় ঐতিহ্য হিসাবে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে দূর্জয়পুরের সুখ-দুখ পুকুর, গোছনের ছয়ঘটি, পাঁচঘটি পুকুর, মুরাদপুরের বান্দির পুকুরসহ অসংখ্য পুকুর যা অতীতে জল কষ্ট নিবারণের জন্য রাজা, জমিদারগণ খনন করেছিলেন। এ এলাকাটি বন্যামুক্ত এলাকা হওয়ায় ও অসংখ্য পুকুর থাকায় মাছের চাহিদা পূরণ, ভূমিস্থ পানির সত্মর নিকটে আনায়ন এবং বসবাসের জন্য আরামযোগ্য মাটি দ্বারা তৈরী দ্বিতল ঘর যা যুগ যুগ ধরে অক্ষত থাকে। এছাড়াও ওমরপুর হাট-বাজার বগুড়

জেলার বিখ্যাত হাট হিসাবে বহু যুগ ধরে চলমান রয়েছে।

          

        এ উপজেলা উত্তরেঃ কাহালু ও শাজাহানপুর উপজেলা, দক্ষিণে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা, পূর্বেঃ শেরপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে আদমদীঘি উপজেলা ও নওগাঁ জেলা আত্রাই উপজেলা। এ উপজেলার আয়তন ২৬৬ বর্গ কিলোমিটার । উপজেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। ১৯৮৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথম চেয়ারম্যান হিসাবে ডাঃ শফিউল আলম (বুলু) নির্বাচিত হন। এ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে নন্দিগ্রাম ইউনিয়নের আংশিক অংশ নিয়ে নন্দিগ্রাম পৌরসভা গঠিত হয়। উপজেলার জমি অধিক উর্বর এ জন্য এখানে ব্যাপকভাবে ধান উৎপাদন হয়ে থাকে।